শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল হল আপেল। ডাক্তার আতঙ্ক বলেও একে ধরা হয়। কারণ এটি অনেক কঠিন রোগের সহজ সমাধান।
আপেলে অনেক পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে। যার কারণে এটি হৃদ রোগের আশংকা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। আপেলের মধ্যে একবারেই ক্যালোরি নেই, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নির্ভয়ে এটি খেতে পারেন। একটি মাঝারি আপেলে ১৮০ কেলোরি থাক।
আপেলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ কর। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা অনুসারে চার সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে দেহের অতিরিক্ত মেদ কমে যায় । পলিফেলন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এরমধ্যে থাকায়, এটি হার্টের জন্য খুবই ভালো ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বা নাস্তা করার আগে, একটি করে আপেল খেয়ে নিন । তাহলে আপনার পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি দেহের অতিরিক্ত মেদ কমবে, ত্বক ভালো থাকবে হজম ক্রিয়া বাড়বে ।
তাই বুঝতে পারছেন আপেল আপনার জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাক্তারের পরামর্শ মতে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ায় যথেষ্ট।
তবে এত শত উপকারিতার মাঝেও আপেলে রয়েছে অনেক অপকারি দিক এবং এই সম্পর্কে আপনাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে ।
আপেলে বিদ্যমান বীজ ভুলেও খাওয়া যাবেনা। বীজ গিলে ফেলা ভিন্ন কথা তবে আপেলের বীজ কখনো চিবানো যাবে না। কারণ আপেলের বিজে রয়েছে একপ্রকার সায়োনেড। যেটি আপনার দেহে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। রাতের বেলা আপেল খাওয়া একদমই ঠিক নয়। কারণ তখন এটি পেটে এসিডিটির সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপেল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে প্রতিদিন সকালবেলা কিংবা নাস্তার পূর্বে। তাহলেই আপনি আপেলের সম্পূর্ণ গুনাগুন নিজের মধ্যে আনতে পারবেন।
আপেল