খাবার ব্যাবসায়ীদের মতে, খাবারের স্বাদের সাথে খাবার দেখতে কেমন, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবার শুধু খেতে সুস্বাদু হলে হবে না, দেখতেও সুন্দর হতে হবে।
সৌন্দর্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে, কত বেশি খাদ্যপণ্য বিক্রি হবে। শুধু দৃষ্টিনন্দন হলেও কথা ছিল, এর পেছনে আরও কিছু বিষয় আছে।
যেমন, দোকানে পণ্য সাজানো হয় বিক্রি করে লাভ করার জন্য। তাই পণ্যগুলোকে দোকানে কিভাবে সাজাতে হবে এমনকি তাকে কীভাবে রাখা হবে থেকে শুরু করে
খাবারের প্যাকেজিং পর্যন্ত সবকিছুই ক্রেতাকে আকর্ষণ করতে গবেষণার করে বিভিন্ন উপায় বের করা হয়েছে।
ঠিক সেরকমই কমলার মার্কেটিং করার জন্য ব্যবসায়ীরা ভিন্নরকম পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেমন, কমলার শরীর চকচকে করে দেয়া, আবার প্যাকেজিং এ থাকে ভিন্নতা।
রাস্তার পাশে বা দোকানে, সব জায়গায় এখন কমলার ছড়াছড়ি। এর মধ্যে আমদানি করা ছোট কমলাগুলো সাধারণত আলাদা করে লাল জালের ব্যাগে বিক্রি হয়।
এই ব্যাগের পেছনে আছে মার্কেটিংয়ের সুচিন্তিত কারসাজি।
গবেষণায় দেখা গেছে, রঙ বাজারের সবচেয়ে কার্যকরী টুলের মধ্যে একটি। সমীক্ষা বলছে, বিভিন্ন কোম্পানি ক্ষুধা বাড়ানো বা কমানো, ক্রেতাদের পছন্দ বাড়ানো, এমনকি ক্রেতাদের শান্ত করতেও রং ব্যবহার করে।
ঠিক সেরকমই লাল ব্যাগে কমলা বিক্রির সঙ্গে রং তত্ত্বের সম্পর্ক আছে। লাল ব্যাগ কমলাকে দেখতে আরও কমলা রঙের করে তোলে।
চিন্তা করলে বোঝা যায়, কমলা বা মাল্টা যত উজ্জ্বল দেখায়, আমরা এটিকে ততই পরিপক্ব বলে মনে করি।
লাল ব্যাগের পেছনে তত্ত্ব হল, কমলার ওপরে লাল জালের পাতলা সুতাগুলো ওভারল্যাপিং বা একটা আরেকটার ওপর থাকে।
তাই লালের প্রভাবে কমলা রঙের গাঢ়ত্বও বেড়ে গেছে বলে মনে হয়। ক্রেতার কাছে তখন কমলাকে খুব ভালো মানের মনে হয়।
আর যেহেতু নির্দিষ্ট পরিমাণ কমলা একটা ব্যাগে থাকে, তাই এভাবে কমলার পুরো ব্যাগটাই কেনার সম্ভাবনা থাকে আমাদের দেশে, প্রয়োজন অনুযায়ী কেনা যায় না!
তাই লাল জালের ব্যাগ পদ্ধতি কমলা বিক্রিতে খুবই কার্যকর।
আপনি সবুজ জালের ব্যাগে কিছু সবুজ লেবু রেখে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। নিশ্চিত করে বলতে পারি সবুজ লেবুকে আরও সবুজ মনে হবে।