গরমে টক দই অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। দুধের মতোই টক দইও আশ্চর্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর জন্যই টক দই নানা শারীরিক সমস্যার সমাধানে অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে, নিয়মিত দিনে মাত্র এক কাপ টক দই খাওয়ার অভ্যাস নানা শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক টক দইয়ের এমনই অসাধারণ কয়েকটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে-
মুগ ডাল খেলে কমবে ওজন, হার্ট থাকবে ভালো
♦ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক! টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নিয়মিত টক দই খেতে পারলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যাবে অনেকটাই।
♦ অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা মসলাযুক্ত খাবার-দাবার খাওয়ার ফলে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। হজমের সমস্যাও দূর করতে টক দইয়ের মতো সহজলভ্য আর কিছু হয় না! টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে আর হজমের সমস্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।
♦ টক দইয়ে ফ্যাট থাকে নামমাত্র। তাছাড়া টক দই রক্তের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এ জন্য কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক বা হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যার ঝুঁকি কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার!
♦ নিয়মিত টক দই খেতে পারলে তা রক্ত পরিশোধনে বা রক্তকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
♦ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতে টক দই খুবই কার্যকরী। নিয়মিত টক দই খেতে পারলে তা রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গেই কমায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও।
♦ অনেকেই দুধ খেলে হজমের সমস্যা হয় বা অনেকেরই ‘ল্যাকটোস ইন্টলারেন্স’-এর সমস্যা রয়েছে। যাঁদের এই ‘ল্যাকটোস ইন্টলারেন্স’-এর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দুধ সহজে হজম হতে চায় না। তাই যাঁদের ‘ল্যাকটোস ইন্টলারেন্স’-এর সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অনায়েসেই দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন।
♦ ওজন কমানোর জন্য টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার! টক দইয়ে ফ্যাট থাকে নামমাত্র। তাছাড়া টক দইয়ের সঙ্গে নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খিদে খিদে বোধ কম হয়। ফলে ধীরে ধীরে সহজেই কমে আসে ওজন।