NE

News Elementor

What's Hot

প্রোস্টেট ক্যান্সার, জানা উচিৎ সবার

Table of Content

প্রোস্টেট ক্যান্সার সম্পর্কে একটা নুন্যতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন, কারন এই রোগ এখন হরহামেশাই হচ্ছে।

ক্যান্সার মানেই আতঙ্ক, ক্যান্সার মানেই মৃত্যু’ এটিই অনেকের ধারণা। শুধু তাই নয়  এই ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনও আছে ব্লাড ক্যান্সার, ফুসফুসে ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, এই গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হল প্রস্টেট ক্যান্সার।

 

পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারকেই প্রস্টেট ক্যান্সার বলে। পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়স হলে পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই মরণঘাতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। কিছু সাবধানতা ও সচেতন হলেই এই ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকা যায়।

 

আগে জানতে হবে “প্রোস্টেট” কি ?

শুধুমাত্র পুরুষদেরই প্রস্টেট গ্রন্থি রয়েছে। এর আকার অনেকটা কাজুবাদামের সমান। মুত্রথলির নিচ থেকে যেখানে মুত্রনালী বের হয়েছে সেটির চারপাশ জুড়ে এই গ্রন্থিটি বিদ্যমান। এর মধ্য দিয়েই মূত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয়। এই গ্রন্থির মূল কাজ হচ্ছে বীর্যের জন্য কিছুটা তরল পদার্থ তৈরি করা। যৌনকর্মের সময় যে বীর্য স্খলিত হয় সেটি আসলে শুক্রাণু এবং এই তরল পদার্থের মিশ্রণ।

 

 

প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণঃ

পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যান্সার খুবই সাধারন। প্রস্টেট গ্রন্থির মধ্যে কোষগুলো যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে তখনই ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছরের পর পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর চাইতে কম বয়সেও প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে, কিন্তু সেটা সচরাচর দেখা যায় না। বয়স যতো বাড়তে থাকে, প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ততোই বেড়ে যায়। পরিবারের কারো যদি (ভাই কিংবা বাবার) প্রস্টেট ক্যান্সার থাকে তাহলেও ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।

 

প্রোস্টেট ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় এখনো সম্ভব হয়নি, তবে কতগুলো বিষয় লক্ষ করা গেছে যেগুলো প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলোকে বিপদের কারণ হিসেবে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-

 

  • বয়স যত বেশি প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বেশি।
  • প্রোস্টেট ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস৷
  • প্রোস্টেট ক্যান্সারের কিছু জেনেটিক কারণও আজকাল আলোচিত হচ্ছে।
  • প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ ও এ রোগের যথাযথ চিকিৎসা না করা।
  • খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত চর্বি ও আমিষ খাবারের সংযোজন। সিগারেট, তামাক সেবন।
  • পুরুষ হরমোন (টেস্টোস্টেরনের) উপস্থিতি প্রোস্টেট ক্যান্সার দ্রুত বৃদ্ধি ও বিস্তারে সাহায্য করে থাকে।

প্রস্টেট ক্যান্সার হলে আগে যেসব লক্ষণ বলা হয়েছে সেগুলোর সাথে আরো যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে, সেগুলো হল:

 

  •     পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা।
  •     লিঙ্গোত্থানে সমস্যা।
  •     নিতম্ব বা তার আশেপাশে নতুন করে ব্যাথা দেখা দেয়া।
  •     বীর্য কিংবা প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া – কিন্তু এটা খুবই কম দেখা যায়।

 

ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য সবগুলো উপসর্গের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কারণ বেশিরভাগ সময়েই প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। প্রস্টেট খুব ছোট একটা অঙ্গ হওয়ায় খুব বড় কোন ধরেনর লক্ষণ বুঝতে পারা যায় না। তাই উপরের উপসর্গগুলোর এক বা একাধিক যদি দেখা যায় তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার জন্য যাওয়া উচিত।

 

প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণঃ

কোনো কারণে যদি প্রস্টেট বড় হয়ে যায় তাহলে মুত্রনালীর মুখ সংকুচিত হয়ে আসে। ফলে মুত্র বের হতে সমস্যা হয়। সাধারণত প্রস্টেটর তিন ধরনের সমস্যা দেখা যায়:

সাধারণ প্রসারন (BPH), প্রস্টেটের প্রদাহ, একে প্রস্টাইটিস-ও বলে এবং প্রস্টেট ক্যান্সার।



এই সবগুলোর ক্ষেত্রেই সাধারণত একইরকম লক্ষণ দেখা যায়, আর সেই লক্ষণগুলো হল:

  • ঘনঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
  • প্রস্রাবের প্রচন্ড বেগ পাওয়া, এমনকি মাঝেমাঝে বাথরুমে যাওয়ার আগেই প্রস্রাব করে ফেলা।
  • প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া।
  • প্রস্রাব করতে প্রচুর সময় লাগে।
  • প্রস্রাবে বেগ থাকে না।
  • প্রস্রাব করার পরো মুত্রথলিতে প্রস্রাব রয়েছে এমন অনুভব হওয়া।
  • এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ মাঝে মাঝে দেখা যায়:
  • প্রস্রাব করার সময় যন্ত্রণা হওয়া।
  • বীর্যপাতের সময় যন্ত্রণা হওয়া।
  • অন্ডকোষে ব্যাথা।

এই লক্ষণ বা উপসর্গগুলোর এক বা একাধিকটি যদি আপনার মধ্যে দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যাতে করে কি কারণে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে সেটা নির্ধারন করা যায়।

ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন, আল্লাহ্‌ হাফেজ।

zulfekul.a@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent News

Trending News

Editor's Picks

কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিরাময় থেকে শুরু করে শরীরের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা। কালোজিরার অন্যতম উপাদানের মধ্যে আছে কালোজিরার তেল। মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের মহা ঔষধ বলা হয় কালোজিরাকে। কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু কোন রোগের জন্য কালোজিরা কিভাবে খেতে হবে তা জানিনা । তাই আজকে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও...

টেস্টেস্টেরন হরমোন বাড়ানোর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

আজকে আমরা কথা বলবো, টেস্টেস্টেরন হরমোন বাড়ানোর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার বিষয় গুলো নিয়ে। এই বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা উচিত। কারন, শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন হলো টেস্টোস্টেরন। কয়েকটি বিষয় মাথাই রাখলেই এ হরমোনের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব। আজ তেমনি কয়েকটি বিষয় তুলে ধরছি… পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমের অভাবে দেহে হরমোন ও অন্যান্য উপাদানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। ফলে...

সামাজিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আমরা বাংলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের স্বাস্থ্য পরামর্শ পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে সচেতন করতে চাই। বিশেষ করে বাংলার গ্রামীন সমাজের সহজ সরল মানুষদের কাছে।

Popular Categories

Must Read

©2024- All Right Reserved By Health Pathsala