কোনো কাজে সফল হলে আমরা নিজেদের বুদ্ধিমান মনে করি। আবার কোনো সময় কোনো কাজে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পেলে নিজেকে মেধাহীন লাগে।
অবস্থা অনুযায়ী এসব অনুভূতি আমাদের মনে তৈরি হলেও বুদ্ধিমত্তা যাচাই করার কিছু উপায় আছে।
এবার মিলিয়ে নেওয়া যাক, এই লক্ষণগুলো তোমার মধ্যে আছে কি না? লক্ষণ মিলে গেলেই তুমি দারুণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।
তাহলে আর দেরি কেনো শুরু করা যাক। সম্পুর্ন ভিডিওটি দেখুন আর কমেন্ট করে জানান কোন কারনে নিজেকে চালাক বলে দাবি করবেন।
আচ্ছা তোমার স্মৃতিশক্তি ক্যামন?
বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের একটি গুণ হলো তাদের অসাধারণ স্মৃতিশক্তি। স্মৃতিশক্তির প্রখরতা ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
কোনো কাজের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি ব্যবহার করলে বুদ্ধিমত্তা প্রভাবিত হয়। যদি কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে খুব সহজেই অনেক বেশি নির্ভুল তথ্য মনে রাখতে পারো, তবে নিজেকে বুদ্ধিমান বলা যেতেই পারে।
তুমি কি দ্রুত শিখতে পার?
কোনো বিষয় দ্রুত বুঝতে পারা বা শেখার সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক আছে। বুদ্ধিমানেরা নতুন কিংবা জটিল কোনো বিষয় খুব সহজেই শিখে নিতে পারে।
শিখে নেওয়া বিষয়টি জীবনের যেকোনো পর্যায়ে কাজে লাগাতে পারে। দ্রুত কোনো কিছু শেখার দক্ষতা বুদ্ধিমানদের অন্যতম গুণ।
নিজের মধ্যে যদি এ দক্ষতা থাকে, তাহলে নিজেকে বুদ্ধিমানদের মধ্যে একজন বলে মনে করতেই পারো।
মননশীল চিন্তা করতে হবে
আউটসাইড অব দ্য বক্স বা বাক্সের বাইরে মৌলিক চিন্তা করতে পারাও বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ। অপ্রচলিত সমস্যার সমাধান করতে পারে বুদ্ধিমানেরা।
প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নিজের চিন্তার সাহায্যে সৃজনশীল কাজ করতে পারো তুমি? তবে তুমি একজন দারুণ বুদ্ধিমান মানুষ।
তোমার কি কোন বিষয় নিয়ে কৌতূহল হয়? জানার আগ্রহ আছে?
জ্ঞানবিজ্ঞান নিয়ে অনুসন্ধান করার দৃঢ় ইচ্ছা যদি নিজের মধ্যে খুঁজে পাও, তবে ধরে নিতে পারো, তোমার বেশ ভালোভাবেই বুদ্ধিমত্তা আছে।
কারণ, নানা বিষয় নিয়ে কৌতূহল ও অনুসন্ধানী হওয়াটা বুদ্ধিমত্তার প্রধান শর্ত।
কোন বিষয়ে তোমার মনোযোগ কেমন?
বুদ্ধিমানেরা কাজের ক্ষেত্রে অটুট মনোযোগ দিতে পারে। যার ফলে কাজ করার সময় খুঁটিনাটি সবকিছু ভালোভাবে খেয়াল করতে পারে।
তুমি যদি কাজের সময় গভীর মনোযোগ দিতে পার, তাহলে বুঝে নিতে হবে, তোমার ভেতরে আছে বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ।